focused in your studies বিষয়ে অনেকদিন ধরে কিছু লিখবো ভাবছিলাম । কারন, প্রায় শিক্ষার্থী দের কিছু কথা শুনতে পাই আর তা হলে আমি পড়া শুনায় মনোযোগ দিতে পারছিনা। পড়া কোথায় থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা। মাথায় কিছু ধরেনা। টেবিলে বসলেই দুনিয়ার যত চিন্তা সব মাথায় আসে। পড়তে বসলে দুনিয়ার সব ঘুম আমার কাছে আসে।
এই ধরনের কথা প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রীদের প্রায় কমন একটা সমস্যা । ছোট বেলা পড়তে বসলে আমার সাথে এমন হত।
আমি আজকে আলোচনা করবো কিভাবে এই সমস্যা গুলো তোমরা সমাধান করবে।
চলো এবার দেখা যাক কিভাবে এই সমস্যা গুলো আমরা সমাধান করতে পারি।
বিষয় গুলো আমি তোমাদের কে পয়েন্ট আকারে বলবো। যাতে করে তোমরা সহজে বুঝতে পারো
১.পড়ার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা:
পড়াশুনার জন্য এমন একটা পরিবেশ তোমাকে বেছে নিতে হবে যেখানে অতিরিক্ত শব্দ বা হৈ চৈ না থাকে। অনেক সময় এ রকম পরিবেশ পাওয়া টা বেশ কষ্টকর । তবে সে ক্ষেত্রে তোমাকে সময় বের করে নিতে হবে। সাধারনত সকাল বেলা অথবা একদম ভোরের দিকে এই পরিবেশ তুমি পেতে পার।
মনে রাখবে, পরিবেশ যত নিরব, পড়ায় মনোনিবেশ করা ততটা সহজ।
২.পড়াশুনার সময় স্মার্টফোন থেকে দুরে থাকা:
বর্তমানে আমরা সবাই অত্যাধুনিক যুগে বসবাস করছি। সোসাল মিডিয়া ছাড়া জীবনটা অনেক পানসে পানসে লাগে। ফেসবুক,ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, লাইকি, লিংকডিন, টুইটার এর মতো অনেক সোসাল সাইট আছে । যেখানে আমরা প্রায় সবাই যুক্ত থাকি।
মনে কর তুমি পড়তে বসেছো। হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো, ম্যাসেন্জারে কেউ নক করলো । অথবা ইউটিউব থেকে নোটিফিকেশন আসলো..
তখন তোমার কাছে মোবাইল থাকলে সাথে সাথে ফোনটা হাতে তুলে দেখবে।
তাই না?
তোমার মনোযোগ সেখানেই শেষ।
অতএব চেষ্টা করবো ফোনটা বন্ধ রাখতে । অথবা সাইলেন্ট রাখতে।
৩.তোমার লক্ষ স্থির কর:
টেবিলে বসার সাথে সাথেই তুমি তোমার লক্ষ নির্ধারন কর। আজ কোন বিষয়টি পড়বে । পড়ার সময় কি কি বিষয়গুলোর সমাধান করবে অথবা মুখস্ত করবে। তুমি যে বিষয়টি পড়ছো তা তুমি বুঝেছ কি না সে বিষয়ের উপর তুমি ফোকাস করবে।
যে কোন কাজে লক্ষ স্থির করলে তা অর্জন করা তোমার জন্য সহজ হবে।
৪.পড়াশুনাকে ছোট ছোট করে ভাগ কর:
একসাথে বসে দশটি বইয়ের পড়াশুনা করে ফেলবো। এই রকম অনেকে মনে করে থাকে। কিন্তু দেখা যায় একটি বইয়ের পড়াও সে কভার করে উঠতে পারেনা।
এর কারন কি?
মূলতঃ তুমি যখন পড়তে বসেছ একসাথে সবগুলোর চিন্তা করছো তখন তুমি সবকিছু গুলিয়ে ফেলবে। এটাই স্বাভাবিক।
তুমি একটি বই নাও। তার পর তুমি চিন্তা করো সেই বইয়ের কয়টি প্যারা পড়তে পারবে এবং সেখান থেকে তুমি কতটুকু অর্জন করবে তা আগে থেকে চিন্তা করতে হবে।
৫.ব্যস্ততা বাড়িয়ে দাও:
একটি বিষয়কে কত ভাবে পড়া যায় তা চিন্তা করো । কিভাবে পড়লে আরো সহবে বোঝা যাবে। একটি লাইন কে কিভাবে বিস্তারিত লিখা যায়। দশ লাইনের একটি বিষয়কে কিভাবে এক লাইনে প্রকাশ করা যায়। এই চিন্তা গুলো মাথার মধ্যে ঘোরাতে থাক।
দেখবে অনেক রকম চিন্তা বেরিয়ে আসছে।
৬.সময় কে ভাগ করে পড়া:
সময় কে ভাগ ভাগ করে পড়লে ভালো ফল পাওয়া যায়।
কিভাবে?
ধরো তুমি দুই ঘন্টা পড়বে বলে ঠিক করেছো। এখন এই দুই ঘন্টা তুমি একসাথে পড়লে তুমি বিরক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক।
তাহলে উপায়?
হাঁ উপায় আছে , আর তা হলো তুমি আধা ঘন্টা পড়ার পর পাঁচ মিনিট রেস্ট নাও।
দেখবে তোমার focused in your studies বাড়তেছে।
এই ভাবে পড়লে তুমি কখনো বিরক্ত হবেনা।
তবে সাবধান! পাঁচ মিনিটের বিরতিতে তোমার ঐ নজর যেন মোবাইলের দিকে না যায়।
কি ভাবছো?
না হাসছো ?
আমি বুঝিতো। তাই বললাম
৭.মাল্টি টাস্কিং মিনিমাইজ কর:
এক সাথে অনেক ধরনের কাজ করার যে প্রবনতা তা অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে। না হলে কাজের কাজ কিছুই হবেনা । সব সময় লক্ষ নির্ধারন করে কাজ করতে হবে তাহলে প্রত্যেকটি কাজে সফল হওয়ার চান্স অনেক বেশি থাকবে বলে মনে করি।
৮.ভিউজিয়্যাল এইড ব্যবহার করা:
শুধুমাত্র বইয়ের অক্ষরের প্রতি মনোনিবেশ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
তাই পড়ার সময় কিছু পড়াশুনা বিষয়ক উপাদান থাকলে অনেকাংশে এক ঘেয়েমি ব্যাপারটা আসেনা
ফোকাস বৃদ্ধি এবং বোঝার উন্নতি করতে ডায়াগ্রাম, চার্ট বা মাইন্ড ম্যাপের মতো ভিজ্যুয়াল এইডগুলি ব্যবহার কর।
৯.মননশীলতার অনুশীলন কর:
এটি তোমার পড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধিতে focused in your studies তে সাহায্য করে।
কয়েকটি গভীর শ্বাস নাও, বর্তমান মুহুর্তে তোমার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত কর।
যেকোনো বিভ্রান্তিকর চিন্তাভাবনা ছেড়ে দাও যা তোমার মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
মননশীলতা ফোকাস উন্নত করতে এবং মানসিক বিশৃঙ্খলা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
১০.শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা:
কথায় আছে সুস্থ দেহে সুস্থ্য মনের বসবাস।
একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা তোমার মনোনিবেশ করার ক্ষমতাকে অনেকগুনে বাড়িয়ে দিতে পারে।ফলে তা তোমার মনের মধ্যে ইতিবাচক বিষয়গুলো প্রভাবিত করে।
পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাবার এবং নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম কর ।
শেষ কথাঃ
জীবনে যারা বড় কিছু করার চেষ্টা করেছে তারা অবশ্যই focused in your studies এবং নিয়ম মেনে চলেই বড় হয়েছে। জীবনে সফলতা পেতে হলে নিয়মানুবর্তীতার কোন বিকল্প নাই। একটি তোমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে তাই পড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই তোমাকে মনোযোগী হতে ।
তোমাদের অসংখ্য ধন্যবাদ এতদূর পযর্ন্ত পড়ে আসার জন্য । যদি অনলাইন মার্কেটিং রিলেটেড কোন কিছু জানার থাকে অবশ্যই তোমার আমার আরেক ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারো
আর যদি এই ওয়েবসাইটের সব কিছু বিস্তারিত জানতে চান তাইলে এইখানে ক্লিক করুন
Leave a Reply